News:

শরিয়তপুর জেলার একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ কার্তিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়। এটি শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কার্তিকপুরে অবস্থিত। ১৮৯৯ ইং সনে এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রসারে স্থানীয় মুসলিম জমিদার মুন্সী সেরাজউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় সুধীজনদের নিয়ে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেম। তখন থেকে এতদাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে বিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়ে অনেক সম্পদ দান করেছেন।যার মধ্যে ভূমিদাতা মুন্সী সালাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মুন্সী নাজামউদ্দিন চৌধুরী, বাবু যোগেশ চন্দ দে, বাবু রমেশচন্দ্র দে, বাবু দীনেশচন্দ্র দাশগুপ্ত, জনাব কুতুবউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অন্যতম। জমিদার বংশধর জনাব সামিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (পিংকু মিয়া) দীর্ঘ দিন ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন এবং বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির দীর্ঘদিনের সভাপতি ও উন্নয়নের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম এম,এ রেজা বিদ্যালয়ে একটি মিলনায়তন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠা পরিবার তথা জমিদার বংশের পক্ষে সালেহা আনোয়ার চৌধুরী একটি সুদৃশ্য ছাত্রী কমনরুম প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমান সভাপতি গুনি ব্যক্তিত্ব বেগম ফরিদা রেজা সহ অনেক গুনীজন বিদ্যালয়ে বিভিন্নভাবে দান করে আসছেন । বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন আর গুপ্ত। প্রধান শিক্ষকগনের মধ্যে ব্রজেন্দ্র কুমার দে নাট্যজগতের এক উজ্জল নক্ষত্র, তিনি নাটক রচনায় এবং নাট্যতত্তে বিশেষ অবদানের জন্য উপমহাদেশে নটরাজ উপাধি লাভ করেন। প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মরহুম আমীর হুসাইন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি জাতীয় ভাবে শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং গুনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে জাতীয় ভাবে বিদেশ ভ্রমন করেন। বারো তম প্রধান শিক্ষক জনাব আবুল কাশেম বেপারী স্যারের অবসরের পর জনাব মোঃ শাহাবুদ্দিন স্যার বর্তমান প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।২০১১ ইং সালে জেলায় এস,এস,সি পরীক্ষায় ১০০ ভাগ পাশ করে বি,এস,বি ফাউন্ডেশন কর্তৃক জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করেন। বর্তমানে বেগম ফরিদা রেজার সভাপতিত্বে একটি দক্ষ ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলীদের নিয়ে অত্যন্ত সুচারুরূপে পরিচালনা করে আসছে।।।।

সংকলনে-আবদুর রহমান মোল্যা রুদ্র।